
আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. ফারুক আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, মুখে কালো কাপড় বাঁধা ১০-১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আজ বেলা দেড়টার দিকে রফিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। আজ বিকেলে লাশ উখিয়া থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে এপিবিএন।
নিহত ব্যক্তির পরিবার ও রোহিঙ্গা নেতাদের সন্দেহ, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরসা সন্ত্রাসীরা জড়িত। রফিক আরসা ছেড়ে আশ্রয়শিবিরের নবী হোসেনের বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এ কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় আশ্রয়শিবিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত সাড়ে চার মাসে আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২৮ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন রোহিঙ্গা মাঝি ও সাতজন আরসা সন্ত্রাসী। অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।